আজ ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি -চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক


নিউজ ডেস্ক >>>  চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ১৭টি ও মহানগরের ১৬টিসহ মোট ৩৩টি থানা রয়েছে। আমরা যদি অন্তত থানা প্রতি ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক পাই, তবে ধীরে ধীরে থানাগুলোতে স্বাভাবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আজ সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম-এর মত বিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এসকল কথা বলেন।সভায় শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের সর্বমোট ৩৩টি থানার পাশাপাশি উপজেলা পরিষদসমূহ, কোর্ট বিল্ডিং-সংলগ্ন এলাকা, ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে, সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ অফিসসমূহে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।সভায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা ও মহানগরের জন্য ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে জেলা প্রশাসনের তিনজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সাথে শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সমন্বয় করে বাজার মনিটরিং-এ দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট, অভিযোগ গ্রহণে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং লস্ট এন্ড ফাউন্ড টিমে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গৃহীত কার্যক্রমসমূহের সফল বাস্তবায়নে একটি সুনির্দিষ্ট টাইমলাইন নির্ধারণ করে সে মোতাবেক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।সভায় উপস্থিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ পুলিশ নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ সকল ফ্যাসিস্টরা। জনজীবন স্বাভাবিক করতে ছাত্রদের সাথে জেলা প্রশাসনের সমন্বয় খুবই জরুরী। এ সময় তিনি ট্রাফিক কন্ট্রোলে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট এবং স্কাউটদের সাথে শিক্ষার্থীরা সমন্বয় করে কাজ করবে বলে জানান।সভায় উপস্থিত অন্যান্য সমন্বয়কদের বক্তব্যে এ সময় থানা ও কারাগার থেকে লুন্ঠিত অস্ত্র দ্রুত উদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা উঠে আসে এবং এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আহ্বান জানানো হয়।আজকের এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাকিব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক এবং শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিউর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ। এরূপ সভা সপ্তাহে অন্তত একবার করার ব্যাপারে আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর